Job News
NOTS-Basic Electricity Trade

বিদ্যুত কি? বা বিদ্যুতের অর্থ (Meaning of Electricity)

প্রিয় শিক্ষার্থী, এখন আমরা আলোচনা করবো- বেসিক ইলেকট্রিসিটি বই থেকে অধ্যায়-১ এর (ইলেকট্রিসিটি এবং এর প্রকৃতি -Electricity and It’s Nature)

বিদ্যুত কি? (What is electricity) বা  বিদ্যুতের অর্থ (Meaning of Electricity):

বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটি এমন অদৃশ্য বল বা শক্তি, যা আমাদের পঞ্চ-ইন্দ্রিয় এক ,  দিয়ে অনুভব করা যায় না। কারণ এটা দেখা যায় না, শােনা যায় না, এর কোন স্বাদ নেই, গন্ধ নেই, বর্ণ নেই এমনকি এটা অনুভবও করা যায় না। যে কেউ দাবী করতে পারে যে, বৈদ্যুতিক বাল্বের দিকে লক্ষ করলে আলাে দেখা যায়, হিটারে তাপ অনুভব করা যায় এবং বিদ্যুৎ-বাহিত তারে হাত দিলে আঘাত পাওয়া যায়। বাস্তবে এগুলােই বিদ্যুৎ নয়, বরং বিদ্যুৎ প্রবাহের ফল মাত্র। তবে বিদ্যুৎ কী?’

যদিও বিদ্যুতের সঠিক প্রকৃতি অপরিজ্ঞাত তথাপি বিদ্যৎ কী করতে পারে, তা সবাই পরিজ্ঞাত। যেমন- শুধুমাত্র একটি সুইচ ‘অন’ করে দালানকোঠা আলােকিত করা যায়, খাদ্যাদি রান্না করা যায়, চাকা ঘুরানাে যায়, এমনকি সুদূর হতে ভেসে আসা মানুষের কণ্ঠস্বর শােনা যায়। এমনি অসংখ্য সাধারণ-অসাধারণ কাজ বিদ্যৎ সম্পন করে। বাস্তবে বিদ্যুতের প্রয়ােগ এত ব্যাপক যে একজন সাধারণ মানুষও এর সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

বিদ্যুৎ কী? এর উত্তর এক কথায় দেয়া কারাে পক্ষেই সম্ভব নয়। এর উত্তর দিতে গেলে বিস্তারিত আলােচনা ছাড়া সম্ভবই নয়! তবুও কেউ যদি নাছােড়বান্দা হয়, তবে এক বাক্যে বলা যায় যে, বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য বল বা শক্তি যা আলাে, তাপ, শব্দ গতি উৎপন করে এবং অসংখ্য বাস্তব কাজ সমাধা করে।

বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটির উদ্ভব হয়েছে গ্রিক শব্দ ইলেকট্রন (Electron) বা অ্যাম্বার’ (পাইন গাছের শক্ত আঠা) হতে। প্রাচীন কালে (অর্থাৎ খ্রি. পূ. ৬৪০-৫৪৮ অব্দে) গ্রিক পণ্ডিত থ্যালেস (Thales) লক্ষ করলেন যে, অ্যাম্বার (Amber) কে রেশমি কাপড় দিয়ে ঘষলে এটা কাগজের ছােট ছােট টুকরা আকর্ষণ করে। এখন যেমন আমরা অনেকেই লক্ষ করি যে, চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে কাগজের ছােট ছােট টুকরার কাছে আনলে চিরুনি টুকরাগুলােকে আকর্ষণ করে। ইদানীং পলিয়েস্টার কাপড়ের শার্ট শরীর হতে খুলতে গেলে চটচট শব্দ হয় এবং শার্ট খুলে ফেলার পর শরীরের কাছাকাছি আনলে শরীরের পশম টেনে নেয়, এমনকি অন্ধকারে শার্ট হতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গও বের হতে দেখা যায়; বেশি দেখা যায় শুনা মৌসুমে, বিশেষ করে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে। এগুলাে আর কিছুই নয়, বিদ্যুতের উপস্থিতির ফলেই এমনটি হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!