Job News
NOTS-Direction of Electric Work

ইঞ্জিনিয়ার অথবা টেকনিশিয়ানের বৈদ্যুতিক কাজের কিছু সাধারণ দিক নির্দেশনা

আমরা যারা ইঞ্জিনিয়ার অথবা টেকনিশিয়ান আছি, আমাদের বৈদ্যুতিক কাজ করতে হয়। বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় ইঞ্জিনিয়ার অথবা টেকনিশিয়ান হিসাবে কিছু সাধারণ দিক নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হয় যা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-

বৈদ্যুতিক কাজের কিছু সাধারণ দিক নির্দেশনা:

  • বৈদ্যুতিক বর্তনীতে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই তা বৈদ্যুতিক সরবরাহ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং অধিক নিরাপত্তার জন্য বিচ্ছিন্নকৃত লাইনটি আর্থিং করতে হবে।
  • প্রতিটি বৈদ্যুতিক বর্তনীতে অবশ্যই কন্ট্রোলিং ও প্রটেকশন ডিভাইস রাখতে হবে।
  • বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ব্যবহৃত তার বা ক্যাবলে জয়েন্ট না রাখায় ভালো।
  • বৈদ্যুতিক তার বা ক্যাবলে দুর্বল সংযোগ বা জয়েন্ট থাকলে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে।
  • সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও টুল সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। নিয়মিত চেক করে নষ্ট ও ক্ষয় যাওয়া যন্ত্রপাতি মেরামত বা পূনঃসংযোগ করতে হবে।
  • বৈদ্যুতিক শক্তির সাথে সংস্পর্শ হতে রক্ষার জন্য যে সব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দরকার তা কর্মীদের জন্য নিশ্চিত করা।
  • ওভারহেড পাওয়ার লাইন চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে।
  • মই ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক পাওয়ার লাইন ও নিজের মাঝে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা।
  • বৈদ্যুতিক অ্যাপ্লাইয়্যান্সে বিদ্যুৎ সরবারহ দেবার পূর্বে অবশ্যই উৎপাদনকারীর নির্দেশিকা বা অপারেটিং ম্যানুয়্যাল দেখে নিতে হবে।
  • বৈদ্যুতিক সকেটে ওভার লোডিং করা পরিহার করতে হবে এবং একটি সকেটে একটি মাত্র লোড ব্যবহার করা উচিৎ।
  • যদি কখনও কোন লোডের সুইচ গরম হয়ে যায় অথবা সার্কিট ব্রেকার বার বার ট্রিপ করে তবে অবশ্যই তা ত্রুটি বিবেচনা করে মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • সকল বৈদ্যুতিক টুলস সঠিকভাবে আর্থিং থাকবে অথবা ডাবল ইনসুলেটেড হবে।
  • মাল্টি প্লাগ/ এডাপ্টরের ব্যবহার এরিয়ে যাওয়া উচিত।

যে কৌশলেই ওয়ারিং করা হোক না কেন, কাজ করার সময় নিচের বিষয়গুলো মেনে চললে কাজটি বৈদ্যুতিক বিধি সম্মত হবে।

  • সুইচ বোর্ড মেঝে থেকে ৪-৪.৫ ফুট উচুঁতে হওয়া উচিত।
  • সুইচ বোর্ড দরজার বাম পাশে বসানো উচিত তবে দরজা যদি বাম দিকে খোলে তবে সুইচ বোর্ড বাম পাশে বসানো উচিত নয়।
  • সিলিং ফ্যান মেঝে থেকে ৮-৯ ফুট উচুঁতে বসানো উচিত।
  • দেয়ালে তার, সিলিং রোজ, হোল্ডার ছাদ থেকে ১.৫ ফুট নিচে হওয়া উচিত।
  • থ্রী পিন সকেট অবশ্যই সাটার্ড সিস্টেম হওয়া উচিত এবং মেঝে থেকে ১.৫ ফুট উচুঁতে হওয়া উচিত।
  • ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডের প্রতিটি এম.সি.বি থেকে সুইচ বোর্ড পর্যন্ত তারের সাইজ ২.০ আর.এম তার (১৫ অ্যম্পিয়ার) হতে হবে।
  • ১টি সুইচ বোর্ডে ১০ টির বেশি পয়েন্ট বা ৮০০ ওয়াটের বেশি লোড দেওয়া যাবে না।
  • সুইচ বোর্ড থেকে সিলিং রোজ এবং হোল্ডারে অর্থাৎ লোড পয়েন্টে যে তার টানতে হবে তার সাইজ ১.৩ আর.এম তার হতে হবে।
  • সুইচ বোর্ড ও পাওয়ার সকেটের লাইন একই এম.সি.বি. থেকে টানা যাবে না।
  • প্রতিটি সুইচ বোর্ড এবং পাওয়ার সকেটের জন্য ডি.বিতে (ডিস্ট্রিবিউশন বক্স) আলাদা আলাদা এম.সি.বি. থাকতে হবে।
  • এম.সি.বি. গুলোর রেটিং এমন হতে হবে যে তা অভার কারেন্ট প্রটেক্টর হিসাবে কাজ করতে পারে।
  • পাওয়ার সকেট বা থ্রী পিন সকেটের লাইন নূন্যতম ৩.০ আর.এম. সাইজের তার দিয়ে টানা উচিত।
  • মেইন তার ও মেইন সুইচের সাইজ এদের মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হবে তার দ্বিগুন কারেন্ট বহন উপযোগী হতে হবে।

উপরে উল্লেখিত বৈদ্যুতিক কাজের কিছু সাধারণ দিক নির্দেশনা মেনে কাজ করলে কাজের গুনগতমান এবং দূর্ঘনা ঘটবে না।

 

পূর্বের লেখা পড়তে ক্লিক করুন-বিদ্যুত কি? বা বিদ্যুতের অর্থ (Meaning of Electricity)

পরবর্তী লেখা পড়তে ক্লিক করুন-কর্মস্থলে আপদ চিহ্নিতকরণ (Workplace Disaster Identification)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!