Job News
Measurement of RAC-NOTS

রেফ্রিজারেটরের আয়তনিক ক্ষমতা নির্ণয় করার নিয়ম

প্রিয় শিক্ষার্থী এখন আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচেনা করবো তা হচ্ছে যে, একটি রেফ্রিজারেটরের ধারণ ক্ষমতা কতটুকু তা কিভাবে বের করতে হয় বা রেফ্রিজারেটরের আয়তনিক ক্ষমতা নির্ণয় করার নিয়ম (Rules for determining the volumetric capacity of a refrigerator) তো শুরু করা যাক-

রেফ্রিজারেটরের আয়তনিক ক্ষমতা:
রেফ্রিজারেটরের সাইজ বা ধারন ক্ষমতা, এর অভ্যন্তরীন আয়তনের পরিমাণ অনুসারে নির্ধারণ করা হয়। রেফ্রিজারেটরের ক্যাপাসিটি বা আয়তনিক ক্ষমতা সাধারণত cft (ঘনফুট) বা লিটারে প্রকাশ করা হয়।

রেফ্রিজারেটরের ক্যাবিনেটর ভেতরের দৈর্ঘ্য,প্রস্থ এবং উচ্চতার মাপ নিয়ে অভ্যন্তরীন আয়তন নির্নয় করা হয়।
মনেকরি, একটি রেফ্রিজারেটরের ক্যাবিনেটর ভেতরের দৈর্ঘ্য=১.৫ ফুট, প্রস্থ =১.২৫ ফুট এবং উচ্চতা=৪ ফুট।

Measurement of RAC-NOTS

সুতরাং আয়তন =দৈর্ঘ x প্রস্থ x উচ্চতা
=১.৫x ১.২৫x ৪
=৭.৫ ঘনফুট।
বর্তমানে S.I unit : এ রেফ্রিজারেটরের ধারন ক্ষমতা লিটারে উল্লেখ করা হয়।
আমরা জানি ১ ঘনফুট= ২৮.৩৬ লিটার
সুতরাং ৭.৫ ঘনফুট = ৭.৫x ২৮
= ২১০ লিটার।
নোট: রেফ্রিজারেটরের অভ্যন্তরীণ আয়তনের সাথে এর আনুষঙ্গিক অংশের সম্পর্ক থাকায় সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসম্পন্ন অংশ (কম্পেসর, কনন্ডেসার , ইভাপোরেটর) সমূহ নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়। কারণ আয়তনের উপর ইউনিটের তাপ অপসারণের পরিমাণ নির্ভরশীল।

বৈদ্যুতিক পাওয়ারের সুত্র:
বিদ্যুৎ প্রয়োগে যে কাজ করা হয়, তার হারকে “ বৈদ্যুতিক ক্ষমতা” পাওয়ার বলে। বিদ্যুৎ প্রবাহকে ভোল্টেজ দ্বারা গুণ করলে ক্ষমতা পাওয়া যায়।বৈদ্যুতিক ক্ষমতার ব্যবহারিক একক ওয়াট। তাই বাল্ব, মোটর প্রভৃতির ক্ষমতা ওয়াটে প্রকাশ করা হয়।
AC এর ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা পাওয়ার নির্ণয়ে ওয়াটকে ‘‘পাওয়ার ফ্যাক্টর’’ দ্বারা গুণ করতে হয় এবং ওয়াট মিটার দ্বারা বৈদ্যুতিক ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়।

বৈদ্যুতিক ক্ষমতা নির্নয়ের সুত্র:
DC এর ক্ষেত্রে,ওয়াট = ভোল্টেজ x কারেন্ট
W = V x I = I2 x R
AC এর ক্ষেত্রে,ওয়াট = ভোল্টেজ x কারেন্ট x পাওয়ার ফ্যাক্টর
W = V x I x পাওয়ার ফ্যাক্টর
এখানে,
W = পাওয়ার, ওয়াট
V= ভোল্টেজ, ভোল্ট
I = কারেন্ট, অ্যাম্পিয়ার
R= রেজিস্ট্যান্স, ওহম।

নোট: বৈদ্যুতিক যন্ত্রের উৎপাদিত ক্ষমতাকে ওয়াট/কিলোওয়াট বা হর্স পাওয়ারে প্রকাশ করা হয়।
এক কিলোওয়াট = ১০০০ ওয়াট = ১.৩৪ হর্স পাওয়ার বা ১.৩৬ হর্স পাওয়ার । আবার,
এক বৃটিশ হর্স পাওয়ার = ৭৪৬ ওয়াট এক মেট্রিক হর্স পাওয়ার = ৭৩৫.৫ ওয়াট।

বৈদ্যুতিক এনার্জী:
কোন বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে এনার্জী শক্তি বলে। সাধারণত বৈদ্যুতিক ক্ষমতাকে মোট সময় (ঘন্টা) দ্বারা ভাগ করলে বৈদ্যুতিক শক্তি পাওয়া যায়। একে ওয়াট আওয়ারে প্রকাশ করা হয়। এবং এনার্জি মিটারের সাহায্যে মাপা হয়।
সাধারণত বৈদ্যুতিক এনার্জীর একক কিলোওয়াট আওয়ার । এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোন যন্ত্র এক ঘন্টা কাজ করলে যে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয় হয়,তাকে এক কিলোওয়াট/ ঘন্টা বলে।

কিলোওয়াট আওয়ার (KWH ) = ওয়াট/১০০০xঘন্টা

বা, 1 Kwh = ১০০০ ওয়াট/ঘন্টা
= ১০০০ জুলx৩৬০০ সেকেন্ড
= ৩.৬x১০৬ জুলস
= ৩.৬ মেগা জুল/সেঃ

নোট : যদি ১০০০ ওয়াটের একটি বৈদ্যুতিক হিটার এক ঘন্টা কাজ করে, তবে এক কিলেওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং তাকে ইউনিট বিদ্যুৎ শক্তি ধরা হয়।

যে বিষয় নিয়ে আলোচেনা করা হল – রেফ্রিজারেটরের আয়তনিক ক্ষমতা নির্ণয় করার নিয়ম (Rules for determining the volumetric capacity of a refrigerator) এখন এই পর্যন্ত পরের পোষ্টে আলোচনা করা হবে রেফ্রিজারেটর এবং এয়ারকন্ডিশনিং এর অন্য কোন বিষয় নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!