এখন আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করবো তা হল- তড়িতাহত বা বৈদ্যুতিক শক (Electric shock) পেলে করণীয়
কোন ব্যক্তির শরীরের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সে ব্যক্তি বৈদ্যুতিক শক প্রাপ্ত হয় বা তড়িতাহত হয়। বৈদ্যুতিক শকের তীব্রতা নির্ভর করে শরীরের মধ্যদিয়ে কি পরিমান বিদ্যুৎ প্রবাহিত হল তার উপর। ৫ মিলি অ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত কারেন্ট শরীরে প্রবাহিত হলে তা নিরাপদ। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে (৬-২৫মিলি অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট) এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে (৯-৩০মিলি অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট) যন্ত্রনাদায়ক শক দিতে পারে এবং শক প্রাপ্ত ব্যক্তি সাময়িক বা স্থায়ীভাবে পেশি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। ৫০-১৫০মিলি অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শক দিতে পারে এবং শক প্রাপ্ত ব্যক্তির শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া সহ মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। ১-৪.৩ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট যদি কোন ব্যক্তির শরীর দিয়ে প্রবাহিত হয় তবে সে ব্যক্তির হৃদক্রিয়া বন্ধ, পেশি সংকোচন এবং স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবার কারনে যদি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় তবে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়।
তড়িতাহত বা বৈদ্যুতিক শক পেলে করণীয়:
যদি কোন ইলেকট্রিশিয়ান বা কোন ব্যক্তিকে ইলেকট্রিক তার অথবা মেশিনের সঙ্গে আটকে যেতে দেখা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিক লাইন হতে তাকে রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসা করতে হবে।

১. তড়িতাহত ব্যক্তিকে চিত্রানুযায়ী চিৎ করে শোয়াতে হবে।
২. মুখ ও গলা ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে।
৩. এই প্রক্রিয়ার পরিচালকের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী রোগীর দাঁতের মধ্যে ঢুকিয়ে ধরতে হবে।
৪. পরবর্তীতে রোগীর মাথা পিছনের দিকে বাঁকিয়ে চোয়াল উঁচু করে নাক দুটি ধরতে হবে।
৫. তারপর এই প্রক্রিয়ার পরিচালক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে রোগীর মুখের মধ্যে মুখ লাগিয়ে রোগীর বুকের ভিতর সবেগে হাওয়া পাম্প করে দিতে হবে। যাতে মুখের ভিতর বাতাস বৃদ্ধির ফলে উঁচু হয়ে যায়।
৬. বুক উঁচু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ ছেড়ে দিলে হাওয়া বের হয়ে আসে।
৭. এই প্রক্রিয়া ৪-৫ সেকেন্ড পর পর করতে হবে।
আজ তড়িতাহত বা বৈদ্যুতিক শক (Electric shock) পেলে করণীয় এই পর্ববের এখানেই শেষ।
পূর্বের লেখা পড়তে ক্লিক করুন-কর্মস্থলে আপদ চিহ্নিতকরণ (Workplace Disaster Identification)
পরবর্তী লেখা পড়তে ক্লিক করুন-বৈদুতিক কাজে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (OHS) এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম
Nilpori Online Technical School NOTS 
One comment
Pingback: কর্মস্থলে আপদ চিহ্নিতকরণ (Workplace Disaster Identification)